রিবার কাপ্লার ম্যানুয়াল (Rebar Coupler / Mechanical Splice Manual)

Md. Jahangir Alam

প্রফেসর ডঃ ইঞ্জিঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম

প্রাক্তন অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, বুয়েট
লিড কনসালটেন্ট, ফ্রিহোল্ড কন্সট্রাকশন এবং ডেভেলপমেন্ট

Table of Contents

রিবার কাপ্লার কি? 

কনক্রীটের শক্তি বাড়ানোর জন্য বিল্ডিং বা যে কোন স্থাপনা তৈরীতে রড ব্যবহার করা হয়। কলাম এবং বীমে রড প্রয়োজনমত সাজাতে রড জোড়া দেয়া ছাড়া উপায় থাকেনা। রিবার কাপ্লার হচ্ছে ২ টা রড জোড়া দেয়ার উপায়গুলোর মধ্যে সর্বোত্তম একটি উপায়। রিবার কাপ্লার (rebar coupler / mechanical splice) হলো এক প্রকার শক্তিশালি নাট যা দিয়ে রড জোড়া দেয়া হয়। ২ দিকের রডে প্যাঁচ কাটা হয় এবং রিবার কাপ্লার দিয়ে জোড়া দেয়া হয়। এখানে রডের কোন ওভারল্যাপিং প্রয়োজন হয় না।

Method of joining rods using a rebar coupler mechanical splice
Figure: Method of joining rods using a rebar coupler / mechanical splice.
Rebar Coupler FCD Bangladesh
3D View of Rod joining method using Rebar Coupler

রড জোড়া দেয়ার উপায়সমূহ

রড জোড়া দেয়ার জন্য ৩ টা উপায় আছে।
  1. ল্যাপিংঃ জোড়ার জায়গায় ২ দিকের রড একটার পাশে আরেকটা ওভারল্যাপ দিয়ে জোড়া দেয়া হয়। এই ওভারল্যাপ অংশের দৈর্ঘ রডের ব্যাসের ৫০-৭০ গুন লম্বা হয়। রড যত বড় হয় এই ওভারল্যাপ অংশের দৈর্ঘ তত বেশী হয়।
  2. রিবার কাপ্লারঃ এক প্রকার নাট যা দিয়ে রড জোড়া দেয়া হয়। ২ দিকের রডে প্যাঁচ কাটা হয় এবং রিবার কাপ্লার দিয়ে জোড়া দেয়া হয়। এখানে রডের কোন ওভারল্যাপিং প্রয়োজন হয় না।
  3. ওয়েল্ডিংঃ ২ টা রড ওভারল্যাপ করে ওয়েল্ডিং করা হয়। এতে ওভারল্যাপ দৈর্ঘ্য ল্যাপিং এর চেয়ে কম লাগে। কিন্তু কিছু রড আছে ওয়েল্ডিং করলে রডের গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়। তাই ওয়েল্ডিং করার আগে নিশ্চিত হতে হবে রডের ধরণটি ওয়েল্ডিং এর জন্য উপযুক্ত কিনা।
এই তিন প্রকার রড জোড়া দেয়ার টেকনিকের মধ্যে রিবার কাপ্লার সবচেয়ে বেশী সাশ্রয়ী, সহজ এবং ভূমিকম্পসহনীয়।
Lappting
চিত্রঃ ল্যাপিং এর মাধ্যমে রড জোড়া দেয়া।
Rebar Coupler Update image for website
চিত্রঃ রিবার কাপ্লার এর মাধ্যমে রড জোড়া দেয়া।
Welding
চিত্রঃ ওয়েল্ডিং এর মাধ্যমে রড জোড়া দেয়া।

রিবার কাপ্লারের প্রকারভেদঃ

শক্তির তারতম্য অনুযায়ী আমেরিকান কোডে রিবার কাপ্লারকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

  • রিবার কাপ্লার টাইপ-১ঃ কাপ্লারের আল্টিমেট স্ট্রেংথ যদি রডের ইল্ড স্ট্রেংথের চেয়ে ২৫% বেশী হয়, তাহলে এটাকে টাইপ-১ হিসেবে গন্য করা হয়। এক্ষেত্রে রডের প্রান্তে থ্রেড কেটে কাপ্লার দিয়ে জোড়া দেয়া হয়। থ্রেডের জায়গায় রডের ব্যাস কমে যায়। ফলে, কাপ্লারের আল্টিমেট স্ট্রেংথ রডের আল্টিমেট স্ট্রেংথের চেয়ে কম হয়। রডসহ টেনসাইল টেস্টে, রডের থ্রেডের জায়গায় অর্থাত কাপ্লারের প্রান্তে ফেইল করে। এই ধরণের রিবার কাপ্লার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহার করা গেলেও, ভূমিকম্পসহনীয় বিল্ডিং-এ ব্যবহারে নিষেধ আছে।
  • রিবার কাপ্লার টাইপ-২ঃ কাপ্লারের আল্টিমেট স্ট্রেংথ যদি রডের ইল্ড স্ট্রেংথের চেয়ে ২৫% বেশী হয় এবং একই সাথে কাপ্লারের আল্টিমেট স্ট্রেংথ যদি রডের আল্টিমেট স্ট্রেংথের সমান অথবা বেশী হয় তাহলে এটাকে টাইপ-২ হিসেবে গন্য করা হয়। এক্ষেত্রে রডের প্রান্তে থ্রেড কাটার আগে ফর্জিং করে ব্যাস বড় করে নিতে হয়। তারপর থ্রেড কেটে কাপ্লার দিয়ে রড জোড়া দেয়া হয়। থ্রেডের জায়গায় রডের ব্যাস কমে না। ফলে, কাপ্লারের আল্টিমেট স্ট্রেংথ রডের আল্টিমেট স্ট্রেংথের বেশী হয়। রডসহ টেনসাইল টেস্টে, রডের থ্রেডের জায়গায় অর্থাত কাপ্লারের প্রান্তে ফেইল করে না বরং কাপ্লার থেকে দুরে রড ফেইল করে। এই ধরণের রিবার কাপ্লার সবক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় এবং ভূমিকম্পসহনীয় বিল্ডিং নির্মাণে অগ্রনি ভূমিকা পালন করে।
Connection Type 1 and 2
চিত্রঃ রিবার কাপ্লারের প্রকারভেদ।

ব্যবহারের তারতম্য অনুযায়ী রিবার কাপ্লার ৩ প্রকারঃ

  • স্ট্যান্ডার্ড কাপ্লারঃ একই ব্যাসের দুটি রডকে জোড়া দেয়ার জন্য স্ট্যান্ডার্ড কাপ্লার ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে রডকে আবর্তিত করে কাপ্লারের সাথে লাগাতে হয়।
  • রিডিউসার কাপ্লারঃ দুটি ভিন্ন ব্যাসের রডকে জোড়া দেয়ার জন্য রিডিউসার কাপ্লার ব্যবহার করা হয়। কলামে বা পিলারে রডের ব্যাস উপরের দিকে আস্তে আস্তে কমতে থাকে। এক্ষেত্রে রিডিউসার কাপ্লারের মাধ্যমে রডের ব্যাস পরিবর্তন করতে হয়।
  • পজিসনাল কাপ্লারঃ যদি কোন ক্ষেত্রে রডকে আবর্তিত করে কাপ্লার লাগানোর সুযোগ না থাকে পজিসনাল কাপ্লার প্রয়োজন হয়। কাস্ট ইন সিটু পাইলে পজিসনাল কাপ্লার লাগাতে হয়।

রিবার কাপ্লার ব্যবহারের সুবিধাসমূহঃ

  1. সাশ্রয়ীঃ ল্যাপিং এর মাধ্যমে রড জোড়া দিতে যে পরিমাণ রড ওভারল্যাপ দিতে হয় তা বেঁচে যায়। রড যত বড় হয় ওভারল্যাপ দৈর্ঘ্য তত বেশী হয়। শুধু তা নয়, ল্যাপিং দিতে হয় বীম এবং কলামের নির্দিষ্ট লোকেশনে। এই ল্যাপিং বীম-কলাম জয়েন্টের ভিতরে বা কাছে দেয়া নিষেধ। নির্দিষ্ট লোকেশনে ল্যাপিং দিতে হলে রড নির্দিষ্ট মাপে কেটে টুকরো করতে হয়। এতে করে অনেক ছোট ছোট টুকরো রড তৈরী হয় যা কোন কাজে লাগে না, কেজি দরে অর্ধেকের চেয়ে কম দামে বিক্রী করতে হয়। রিবার কাপ্লারের মাধ্যমে রড যে কোন লোকেশনে জোড়া দেয়া যায়। ওভারল্যাপ লাগে না। ল্যাপিং এ রডের অপচয় রিবার কাপ্লারের দামের চেয়ে অনেক বেশী। ফলে, রিবার কাপ্লারের ব্যবহার খরচ বাঁচায়।
  2. ভূমিকম্পসহনীয়ঃ ভূমিকম্পসহনীয় বিল্ডিং বা স্থাপনা বানাতে হলে বীম-কলাম জয়েন্টে রডের সাজানো এবং সবগুলো রডের মাটাম ঠিকমত করতে হয়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ল্যাপিং অথবা ওয়েল্ডিং এর মাধ্যমে রডের জোড়া দিতে হয় বীম এবং কলামের কিছু নির্দিষ্ট জায়গায়। এই জোড়া বীম-কলাম জয়েন্টের ভিতরে বা কাছে দেয়া নিষেধ। কিন্তু, বাস্তবে দেখা যায় মিস্ত্রীরা রডের অপচয় কমানোর জন্য রডের জোড়া বীম-কলাম জয়েন্টের ভিতরে বা কাছে করে থাকে। এতে বিল্ডিং ভূমিকম্পের সময় ভেঙ্গে পড়ার ঝুঁকিতে থাকে। রিবার কাপ্লার ব্যবহার করলে রডের জোড়া দেয়ার জায়গার স্বাধীনতা বৃদ্ধি পায়। এতে বিল্ডিং ভূমিকম্পসহনীয় হওয়ার পাশাপাশি রডের অপচয় রোধের মাধ্যমে খরচও কমে। ভূমিকম্পের সময় রডের বাইরের কনক্রীট অনেক সময় ফাটল হয় অথবা খসে পড়ে। এতে ল্যাপিং এর মাধ্যমে জোড়া দেয়া রড লোড নিতে পারে না। রিবার কাপ্লারের মাধ্যমে জোড়া দেয়া রড এক্ষেত্রে লোড নিতে সক্ষম। তাই, রিবার কাপ্লার ভূমিকম্পসহনীয় বিল্ডিং নির্মাণে অত্যাবশ্যক।
  3. কনক্রীটের শক্তির উপর নির্ভরশীল নয়ঃ ল্যাপিং এর মাধ্যমে রডের জোড়া দিলে কনক্রীটের শক্তির উপর নির্ভর করে জোড়ার শক্তি। কনক্রীট কোন কারনে দুর্বল হলে ল্যাপিং এর মাধ্যমে দেয়া জোড়া অকার্যকর হয়ে পড়ে। কনক্রীট নানা কারণে দুর্বল হতে পারে – ভাইব্রেশন ঠিক মত না হওয়া, মিক্স রেশিও ঠিক না থাকা, বালি বা পাথরের কোয়ালিটি খারাপ হওয়া, পানি বেশী হওয়া ইত্যাদি। রিবার কাপ্লারের মাধ্যমে যে জোড়া দেয়া হয় তা কনক্রীটের কোয়ালিটি খারাপ হলেও কার্যকর থাকে।
  4. সহজঃ রিবার কাপ্লারের মাধ্যমে জোড়া দেয়া অত্যন্ত সহজ। রিবার কাপ্লার বিক্রেতা কোম্পানি সাইটে স্পেশাল মেশিনের মাধ্যমে রডের প্রান্তে প্যাঁচ কেটে দেয় এবং নাটের মত দেখতে রিবার কাপ্লার সাপ্লাই দেয়। সাইটে মিস্ত্রীরা রেঞ্চের মাধ্যমে অথবা হাতে রিবার কাপ্লারের মাধ্যমে সহজে রড জোড়া দিতে পারে। ল্যাপিং এর মাধ্যমে রড জোড়া দিতে হলে রড বিশেষভাবে বাঁকাতে হয়। মোটা রড বাঁকানো কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ কাজ। রিবার কাপ্লারের মাধ্যমে জোড়া দেয়ার ক্ষেত্রে এসব কোন ঝামেলা নেই।
  5. মোটা রড জোড়া দেয়াঃ সব দেশের বিল্ডিং কোড মোটা রড জোড়া দেয়ার জন্য ল্যাপিং এর পরিবর্তে রিবার কাপ্লার ব্যবহার করা উৎসাহ দেয়া হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে অপরিহার্য করা হয়েছে। সুতরাং, মোটা রড জোড়া দেয়ার জন্য রিবার কাপ্লারের বিকল্প নেই।
  6. রডের জট পরিহারঃ ল্যাপিং এর মাধ্যমে রড জোড়া দিলে জোড়ার জায়গায় রড ডাবল হয়ে রডের জট তৈরী হয়। এতে অনেক সময় কনক্রীট প্রবেশ করার পর্যাপ্ত জায়গা থাকে না। রিবার কাপ্লার ব্যবহারে রডের জট হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না।
  7. কনস্ট্রাকশন জয়েন্টঃ অনেক দীর্ঘ স্ট্রাকচার ঢালাইয়ের ক্ষেত্রে কয়েক ধাপে কনক্রীট ঢালাই করা হয়। কনস্ট্রাকশন জয়েন্ট ল্যাপিং এর জন্য বাড়তি রড রেখে দিয়ে সাটারিং করা অত্যন্ত জটিল, অনিরাপদ এবং সময়সাপেক্ষ কাজ। রিবার কাপ্লার ব্যবহারে বাড়তি রড রাখার প্রয়োজন হয় না বলে সহজ, নিরাপদ এবং দ্রুত হয়।

কখন রিবার কাপ্লার ব্যবহার লাভজনক এবং কতটা লাভজনক?

রডের ব্যাস ১৬ মিলিমিটার এর উর্দ্ধে হলে রিবার কাপ্লার ব্যবহার লাভজনক। ৮, ১০, ১২ এবং ১৬ মিলিমিটার ব্যাসের রডের জন্য রিবার কাপ্লার ব্যবহার লাভজনক নয়। তবে, কাজের সুবিধার্থে এবং ভূমিকম্পসহনীয় বিল্ডিং নির্মাণের স্বার্থে ১৬ মিলিমিটার রডেও রিবার কাপ্লার ব্যবহার করা উচিত। রিবার কাপ্লার ব্যবহারে প্রজেক্টের রডের খরচ এবং রড বাঁকানোর খরচ কমে। অপচয় রোধ করা যায়। সব মিলিয়ে প্রায় ৫-১০% রডের খরচ সাশ্রয় হয়।

কখন রিবার কাপ্লার ব্যবহার বাধ্যতামূলক?

রডের ব্যাস যদি ৩৬ মিলিমিটার এবং তদোর্দ্ধে হয়, তাহলে রিবার কাপ্লার (rebar coupler / mechanical splice) ব্যবহার করা বাধ্যতামুলক। অথবা ওয়েল্ডিং করা যেতে পারে। ল্যাপিং দেয়া নিষেধ।

দেশী এবং বিদেশী কোড অনুযায়ী রিবার কাপ্লার ব্যবহারের নিয়ম-কানুন

বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ (Bangladesh National Building Code 2020 / BNBC 2020) এবং আমেরিকান কনক্রীট ইন্সটিটিউট (American Concrete Institute, ACI 318-19) এর গাইডলাইন অনুযায়ী মেকানিক্যাল স্প্লাইচ বা রিবার কাপ্লার ব্যবহারের নিয়ম-কানুন নীচে তুলে ধরা হলো।

  • স্ট্যাগারিংঃ একই পজিশনে সবগুলো রড জোড়া না দিয়ে আগে পিছে করে জোড়া দেয়াকে স্ট্যাগারিং (staggering) বলে। স্ট্যাগারিং বাধ্যতামুলক নয় কিন্তু উত্তম। সব রড এক জায়গায় জোড়া দেয়া উচিত নয়। তবে বিশেষ প্রয়োজনে দিতে নিষেধ নেই। কিন্তু এক জায়গায় সব রিবার কাপ্লারের জোড়া না দিয়ে ২ ফুট আগে পিছে করে দেয়া সর্বোত্তম। তার মানে অর্ধেক এক জায়গায় এবং বাকী অর্ধেক ২ ফুট উপরে/নীচে বা ডানে/বামে জোড়া দিতে হবে।
  • টাইপ-১ রিবার কাপ্লারের পজিশনঃ টাইপ-১ রিবার কাপ্লার বা মেকানিক্যাল স্প্লাইস শুধুমাত্র বীম এবং কলামের মাঝখানের অংশে ব্যবহার করা যাবে। অন্য কোন জায়গায়, অর্থাত বীম এবং কলামের দুই প্রান্তে এটা ব্যবহার করা যাবে না।
  • টাইপ-২ রিবার কাপ্লারের পজিশনঃ টাইপ-২ রিবার কাপ্লার বা মেকানিক্যাল স্প্লাইস বীম এবং কলামের যে কোন অংশে ব্যবহার করা যাবে। অন্য কোন জায়গায়, অর্থাত বীম এবং কলামের দুই প্রান্তে এটা ব্যবহার না করা উত্তম।
  • ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টরঃ রিবার কাপ্লারের টাইপ, সাইজমিক ডিটেইলিং টাইপ এবং রডের গ্রেড – এ তিনটি হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর যাদের উপর ভিত্তি করে রিবার কাপ্লার বা মেকানিক্যাল স্প্লাইচ এর ব্যবহার, পজিশন ইত্যাদি নির্ভর করে। নীচে চিত্রের মাধ্যমে এ বিষয়গুলো পরিস্কার করা হলো।

রিবার কাপ্লারের কোয়ালিটি টেস্টঃ

রিবার কাপ্লারের কোয়ালিটি পরীক্ষা করার জন্য টেনসাইল স্ট্রেংথ (টান সহ্য করার শক্তি) টেস্ট করে দেখতে হয়। টেস্ট করার সময় রড যদি রিবার কাপ্লারের মধ্যে ছিড়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে রিবার কাপ্লার কোয়ালিটি খারাপ যা ব্যবহারযোগ্য নয়। টাইপ-১ এবং টাইপ-২ রিবার কাপ্লারের মধ্যে টাইপ-২ রিবার কাপ্লার সর্বোত্তম যা সব ধরণের স্ট্রাকচারে ব্যবহার করা যায়। টাইপ-২ রিবার কাপ্লারের ক্ষেত্রে রিবার কাপ্লারের বাইরে রড ছিড়ে যায় এবং স্ট্রেংথ রডের সমান হয়। তার মানে হলো, রিবার কাপ্লার টেস্টে যদি রডের প্রয়োজনীয় শক্তি পাওয়া যায় এবং সর্বোচ্চ লোডে রিবার কাপ্লারের বাইরে ছিড়ে যায় তাহলে রিবার কাপ্লারের কোয়ালিটি সন্তোষজনক। টাইপ-১ রিবার কাপ্লারের ক্ষেত্রে রডের শক্তির চেয়ে কম শক্তিতে রড ছিড়ে যায় এবং সর্বোচ্চ লোডে রিবার কাপ্লারের সন্নিহিত প্রান্তে রড ছিড়ে যায়। এই ধরণের রিবার কাপ্লার ভূমিকম্পসহনীয় ভবন নির্মাণে সহায়ক নয়।

প্রাইচ সম্পর্কে জানতে নিচের ফর্মটি পূরন করুন

Rebar Coupler Price Request Form

Coupler সম্পর্কিত যেকোনো তথ্যের জন্য সরাসরি ফোন করুন